নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় দুই জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন- মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এদিন চারদিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ৩০ জুলাই জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৩ জুলাই এ দুই আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ মামলায় গত ২৫ জুলাই মুরাদ মিয়া, মো. সোহেল রানা, মো. বিল্লাল, মো. আসাদুল ইসলাম ও মো. রাজু নামের পাঁচজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালত মামলার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমের ২৪ জুলাই পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন । রিমান্ড চলাকালে ২৭ জুলাই হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। একইদিন রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব সৃষ্টিকারী রিয়া খাতুনও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। হৃদয় ও রিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জাফর হোসেন নামের আরেক আসামিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন। আর ২৭ জুলাই শনিবার মো. শাহীন, মো. বাচ্চু মিয়া ও মো. বাপ্পিকে চারদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় স্কুলে সন্তানের ভর্তির খোঁজখবর নিতে গিয়ে তাসলিমা বেগম রেনু ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন তাসলিমার ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।