নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ :জেলার ফতুল্লার দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় শাকিল নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় শাকিলকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা আরো ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করে।
শনিবার রাত পৌনে ১১টায় দেওভোগ মাদ্রাসা হাসেমবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল দেওভোগ পূর্বনগর এলাকার মৃত আমান উল্লাহর ছেলে।
আহতদের মধ্যে দুইজন ঢাকা মেডিকেলে ও অন্যদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় পানি ব্যবসায়ী সজিব মোটরসাইকেলযোগে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকা থেকে বাংলাবাজার এলাকায় বাসায় ফিরছিলেন। এসময় তিনি হাসেমবাগ এলাকায় তুহিন, নিক্সন ও চান্দুসহ এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে রাস্তায় দেখেন। মোটরসাইকেলের হেড লাইটের আলো তাদের চোখে পড়লে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সজিবের মোটরসাইকেল থামিয়ে হেডলাইটটি ভেঙ্গে ফেলে। এ নিয়ে সজীবের সাথে কথাকাটি শুরু হলে তুহিন তার সহযোগীদের নিয়ে সজিবকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এ সময় সজিবকে বাঁচাতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে শাওন, সজীব, সুভাষ এবং অজ্ঞাত এক পথচারীসহ আহত হন পাচঁজন। পরে গুরতর অবস্থায় শাকিলসহ দুইজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে শাকিল মারা যান।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।