নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ঈদে বাড়ি যাবো কিন্তু কীভাবে যাবো, সেটাই ভাবছি। শুনেছি দেশের উত্তারাঞ্চলে বন্যার কারণে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঈদের আগে রেললাইন ঠিক হবে কিনা জানিনা। আর যদি না হয়, তাহলে বাস ছাড়া তো যাওয়ার কোন উপায় দেখছি না। কিন্তু বাসে করে যে যাবো তার জন্য টিকিট দরকার, সেই টিকিট তো পাচ্ছি না।’ হতাশা নিয়ে এমন কথা বলছিলেন মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আজ ছিলো ঈদুল আযহা উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিন। সকাল থেকেই রাজধানীর কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল ও গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশিত মানুষের ভিড়। তবে যে তারিখের টিকিট তারা চাচ্ছেন, কাউন্টারে গিয়ে সেই তারিখের টিকিট প্রথম দিনই শেষ হয়ে গেছে বলে জানান বিভিন্ন বাস কাউন্টারের মাস্টার।
গাবতলীর হানিফ পরিবহনে টিকিট সংগ্রহ করতে আসা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি রংপুর। প্রতিবছর ঈদে আমি ট্রেনে করেই বাড়ি যাই। কিন্তু এইবার শুনলাম বৃষ্টির কারণে নাকি ঢাকার সাথে গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরাসরি রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ঈদের আগে এই পথে রেল চালু হওয়াও নাকি অনিশ্চিত। তাই আজ বাসের টিকিটের জন্য এসেছি। আগামী ১০ তারিখ রংপুর যাবো বলে ভাবছিলাম। কিন্তু গাবতলী এসে দেখি ১০ তারিখের কোন টিকিট নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি একা হলেও একটা ব্যবস্থা করে যেতে পারতাম, কিন্তু পরিবারের সবাইকে নিয়েই যেতে হবে। বাসের টিকিট না পেলে কী করবো বুঝতে পারছি না।’
এদিকে রেল মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেললাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে এর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ঈদের আগে এর কাজ শেষ হবে এবং ঈদে সবাই কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি যেতে পারবেন।
এদিকে বাসের টিকিট শেষ প্রসঙ্গে গাবতলীর হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘গত শুক্রবার ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই আমাদের পরিবহনের ৯ ও ১০ তারিখের সকল রুটের টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। তাই এখন কেউ এসে ওই তারিখের টিকিট চাইলেও আমরা দিতে পারছি না।