
ক্রীড়া প্রতিবেদক: ইসরু উদানার ৪৯তম ওভারে ১৫ রান তুলে সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।
শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান হলেই ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন মুশফিক। নুয়ান প্রদ্বীপের ওভারে তিনবার স্ট্রাইকও পেয়েছিলেন। কিন্তু ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। চাইলেই পঞ্চম বলে এক রান না নিয়ে ষষ্ঠ বল খেলতে পারতেন। কিন্তু দলীয় সংগ্রহে ১-২ রান যোগ হওয়ার মর্ম তার থেকে ভালো আর কে জানেন! ১১০ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় সাজান তার বীরত্বগাঁথা ৯৮ রানের ইনিংসটি।
অবশ্য পুরো ইনিংস এভাবেই সাজিয়েছেন মুশফিক। বাংলাদেশের পুঁজি কত হবে, তা নির্ভর করছিল মুশফিক কতক্ষণ ক্রিজে থাকেন তার ওপর। চাইলেই পাগলাটে কয়েকটি শট খেলতে পারতেন। দ্রুত রান তোলার তাড়ায় মনোযোগ নষ্ট করতে পারতেন। কিন্তু দলের সেরা ব্যাটসম্যান তেমন কিছুই করলেন না। নিজের ওপর আস্থা রেখে দলকে টেনে নেন শেষ বল পর্যন্ত। সেঞ্চুরি না পেলেও এ ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডেতে তামিম ও সাকিবের পর তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ছুঁয়েছেন ৬ হাজার রানের মাইলফলক।
চাপের ভেতর থেকেও যেভাবে ব্যাট হাতে দোর্দন্ড প্রতাপ দেখিয়েছেন তাতে মেন্ডিস, করুনারত্নরাও বলেছেন, ‘ওয়েল প্লেইড।’ জিতেছেন সবার মন। পেয়েছেন করতালি। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলে পেয়ে যেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। কিন্তু খালি হাতে ফেরেননি। মুশফিকের হাতে উঠেছে ওয়ালটন স্মার্ট প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটন গ্রুপের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম।
প্রথম ম্যাচে ৬৭, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯৮। শেষ ম্যাচে ধ্রুপদী মুশফিকের ব্যাট হাসলে সিরিজ সেরার পুরস্কার আসতে পারে বাংলাদেশের ঘরে।