ক্রীড়া প্রতিবেদক: ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় আরেকটি হারের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ। পারফরম্যান্সে সেই পুরোনো চিত্র।
বিবর্ণ ব্যাটিং, নির্বিষ বোলিং। সাথে সাদামাটা ফিল্ডিং। তিন বিভাগেই বাংলাদেশ ফ্লপ। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষাতেও ছিল না বড় কিছু পাওয়ার চেষ্টা! গর্জন, আগ্রাসন, লড়াই; এ শব্দগুলো যেন হারিয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।
এক মুশফিকুর রহিম ছাড়া বাকিরা একই। প্রথম ম্যাচে ৬৭ রানের পর মুশফিকের ব্যাট থেকে আজ এসেছে ৯৮ রান। দলের রান বাড়াতে গিয়ে মুশফিক পুরো ইনিংস খেলেছেন ধীরস্থির হয়ে। শেষমেশ সেঞ্চুরিও পাওয়া হয়নি তার। তীব্র গরমে প্রায় ৪০ ওভার ক্রিজে কাটিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান।
অথচ মঞ্চটা বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত ছিল। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম। অনেকটা মন্থর উইকেটে সতর্ক হয়ে খেলতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু শুরু থেকেই সবকিছু ওলটপালট। সৌম্য, তামিম, মিথুন, মাহমুদউল্লাহ ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী। মুশফিক দারুণ ফর্মে থেকেও স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারেন না সঙ্গীর অভাবে। সাব্বিরও রান আউট হয়ে এদিন ফেরেন সাজঘরে। মোসাদ্দেকও পারেন না। মিরাজ ৪৩ রানের ইনিংস খেলে লড়াই করলেও মুশফিক শেষটায় কোনো ব্যাটসম্যানকে পাননি। ২৩৮ রানে থামে বাংলাদেশ।
উইকেট বিবেচনায় ২৬০ রানের পুঁজি টার্গেট করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে তামিম সেই কথাই বলেছেন,‘আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ টস জিতেছিলাম। জানতাম যে দ্বিতীয় অর্ধে বল বেশি টার্ণ করবে। এ কারণে আমরাও বাড়তি একজন স্পিনার নিয়ে খেলেছি। টস জেতার পর আমাদের দায়িত্ব ছিল ভালো শুরু করা। কিন্তু আমরা দ্রুত চারটি উইকেট হারাই। এটা ৩০০ রানের উইকেট ছিল না। আমাদেরকে ২৬০ রান করলেও হতো। তবে তারা ভালো বল করেছে।’
ম্যাচ হারের পেছনে বড় কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি তামিম। তবে নিজেদের তাড়নার ঘাটতি দেখছেন অধিনায়ক,‘আমরা দুই ম্যাচেই বাজে সময় কাটিয়েছি। ম্যাচ জয়ের জন্য যে পরিশ্রম প্রয়োজন সেটা হয়তো হচ্ছে না। সেই লাইনটা ক্রস করতে পারছি না আমরা।’
মুশফিক লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন। প্রয়োজন ছিল নতুন বলে নিয়ন্ত্রিত এবং আগ্রাসী বোলিং। সাথে দুর্দান্ত ফিল্ডিং। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলাররাও ছিলেন অন্ধকারে। ফিল্ডিংয়েও সাদামাটা বাংলাদেশ। ফলাফল, সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে সফরকারীরা। সিরিজ হাতছাড়া হওয়ার পর এবার হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ তামিমের দলের সামনে।