২০১৯-২০ অর্থ বছরের ২ হাজার ৪৮৫ কোটি ৯১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এই বাজেট মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের শেষ অর্থ বছরের বাজেট। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে চসিকের ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গত অর্থ বছরের আদায় টার্গেট সর্বমোট ২ হাজার ৪২৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ৮২ হাজার টাকার বিপরীতে ২ হাজার ৪৫ কোটি ৫১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আয় হয়। যা লক্ষ্যের প্রায়৮৪.৩৩ শতাংশ।
এবার বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়ণ করা হয়েছে বলে মেয়র মত প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, এবারের বাজেটে উন্নয়ন অনুদান ও কর আদায়কে উল্লেখযোগ্য আয়খাত হিসেবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গত অর্থ বছরের উন্নয়ন অনুদান লক্ষ্য ১৬৮০ কোটি টাকার বিপরীতে সংস্থাটি ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা উন্নয়ন সহযোগিতা পায়। সেই প্রত্যাশায় এবার ১ হাজার ৭০২ কোটি টাকা উন্নয়ন অনুদান প্রাপ্তির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যান্য অর্থ বছরের তুলনায় ২০১৮-২৯ অর্থ বছরে সিটি কর্পোরেশনে কর আদায়ে আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়েছে। গত বছর হাল কর আদায় খাতে ১’শ ৪৪ কোটি ৩৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায়ের টার্গেটে প্রায় ৯০ কোটি ৩৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা আদায় হয়। পাশাপাশি যা মোট লক্ষ্যের প্রায়
৬২.৬১ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতায় এই ২০১৯-২০ অর্থ বছরেও ১৪৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে গত অর্থ বছরে অন্যান্য কর আদায় খাতে ১৩৩ কোটি টাকা আদায় টার্গেটের বিপরীতে ১১৪ কোটি ১১ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। এবারও এ খাতে ১৩২ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। সর্বমোট কর আদায় খাতে গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের চেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রায় ১৬ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে।
বাজেট ঘোষণায় মেয়র বিগত সময়ের সার্বিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।
মেয়র বলেন, নগরবাসীর আশা প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটানো এবং চট্টগ্রাম মহানগরকে পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নান্দনিক বাসযোগ্য নগর প্রতিষ্ঠায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রনয়ণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আধুনিক নগর ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের সভায় উপস্থাপিত হবে। আশা করছি চলতি বছর এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বিমানবন্দর সড়কের উন্নয়নে চার লেন বিশিষ্টকরণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রনালয়ে তা জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হয়েছে। আমাদের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের নেতৃত্বে এই নগরে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে বিগত ২০ বছরে তা হয়নি। ২৭ বছরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কোন অর্গানোগ্রাম অনুমোদন করা যায় নি। আমি দীর্ঘ ২৭ বছর পর তা অনুমোদন করিয়েছি। আগামীতে আর একটি নতুন অর্গানোগ্রাম অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। ঘোষিত এ বাজেট বাস্তবায়নে মেয়র নগরবাসী সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অনুষ্ঠানে চসিক কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট শ্রেণী পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।