সচিবের কারণে ৩ ঘণ্টা ফেরি বিলম্বে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ফেরী পারাপারে অপেক্ষায় থেকে শিশু তিতাস মৃত্যুর ঘটনায় যেই দায়ী হোক আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এছাড়াও এ সময় তিনি ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, আমরা এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হব।
এ সময় তিনি মেয়রদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা যে কাজ করছেন তা আরও সমন্বিতভাবে করার বিষয়ে আপনাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তিন দিনব্যাপী জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করবে। তিনি বলেন, ৩১ জুলাই থেকে সারা দেশে শুরু হতে যাওয়া এই কর্মসূচিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে এবং লিফলেট বিতরণ করা হবে।
কাদের বলেন, সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং বন্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ অনতিক্রম্য নয়। আমরা সমন্বিতভাবে চেষ্টা করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করব এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনব।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ১নং ফেরি ঘাটে এক সচিবের গাড়ির অপেক্ষায় ফেরি পার হতে তিনঘণ্টা অপেক্ষা বিলম্ব হয়। এতে ফেরি ঘাটে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তিতাস ঘোষের মৃত্যু হয়।
তিতাসের স্বজনরা জানায়, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর রাত পৌনে ১১টার দিক নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো সাদা রংয়ের নোহা মাইক্রোবাসটি আসার পর ফেরি ছাড়ে। ফেরিটি মাঝ নদীতে পৌঁছালে মস্তিস্কে প্রচুর রক্তক্ষরণে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তিতাসের। পরে শিমুলিয়া ঘাট থেকে আবারও ফেরিতে কাঁঠালবাড়ি ঘাট পৌঁছে ওই পরিবারটি তিতাসের লাশ নিয়ে নড়াইলে ফিরে যায়।
তিতাসের স্বজনদের অভিযোগ, ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা, পুলিশ সবার কাছে অনুরোধ করার পরও ওই কর্মকর্তা না আসা পর্যন্ত কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ছাড়েনি। তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন।
তবে পুলিশ ও ঘাটে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের কাছে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে যখন রোগীর কথা জানানো হয় তখনই তাদের অ্যাম্বুলেন্সটি ফেরিতে লোড করে ১০ মিনিটের মধ্যেই ঘাট থেকে কুমিল্লা ফেরিটি শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর সরকারি কর্মকর্তার জন্য খুব বেশি দেরি করেনি ফেরিটি।