ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ হত্যামামলার বিচারকাজ শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।
আসামিরা হলেন মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহা, মো. আরাফাত রহমান (২৪), শাফিউর রহমান ফারাবী (২৯), সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার রুহুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
গত ১১ এপ্রিল ঢাকা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ছয়জনের বিরুদ্ধে ওই চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান তা গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ তিন বছর মামলাটির তদন্ত করে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরবর্তী সময়ে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে সিটিটিসি।’
মো. মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুইজনের নাম ঠিকানা যাচাই করে তাদের পলাতক হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনাদানকারী হিসেবে শাফিউর রহমান ফারাবীকে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সম্পৃক্তদের মধ্যে মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আসামি সায়মন, সোহেল ও আরাফাত ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’
এদিকে অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের মামলাটি প্রথমে পেনাল কোডে রুজু হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিরা সকলেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আনসার আল ইসলাম) এর সদস্য হওয়ায় মামলাটির অভিযোগপত্র সন্ত্রাসবিরোধী আইনে প্রস্তুত করা হয়েছে।