কক্সবাজারের টেকনাফের নুরউল্লাহঘোনা নামক পাহাড়ে ডাকাতদলের এবং মেরিন ড্রাইভ সড়কে মাদককারবারির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ডাকাত ও এক মাদককারবারি নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) ভোরে টেকনাফের নুরউল্লাহঘোনা নামক পাহাড়ে ডাকাতদলের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৮টি দেশিয় তৈরি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ ও ৩৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে জুনায়েদ, আইয়ুব, মেহেদি হাসান হলেন ডাকাত ও ইমরান মোল্লা একজন ইয়াবাকারবারি দাবি পুলিশের।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের কাছে খবর আসে নুরউল্লাহঘোনা পাহাড়ি এলাকায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি জুনায়েদ, আইয়ুব, মোস্তাকসহ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাতদল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতি কারর জন্য সমবেত হয়েছে। খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা লক্ষ করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত জুনায়েদ, আইয়ুব ও মেহেদিকে গ্রেফতার করেন।
এ সময় ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সজীব ও কনস্টেবল মেহেদী আহত হয়েছেন।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৭টি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে ও গুরুতর আহত ডাকাত জুনায়েদ, আইয়ুব, মেহেদী হাসানকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার (২ আগস্ট) দিনগত রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগারপাড়ায় মাদক মাদককারবারিদের মধ্যে গুলিবিনিময়কালে ইমরান মোল্লা নামে এক ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। নিহত ইমরান মাদারীপুরের কালকিনি থানার গিয়ারকুল গ্রামের মৃত জহিরুল মোল্লাহর ছেলে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগাহপাড়া স্থানে পুলিশ দায়িত্ব পালনকালে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে রাস্তার পাশে সন্দেহজনকভাবে দাঁড়ানো দেখে পুলিশ সেটির কাছাকাছি গেলে এক ব্যক্তিকে গুলি করে অপর দু’ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ করে। এসময় ওই দু’ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ আটক করেন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইমরানকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের হাতে আটক হওয়া দু’ব্যক্তি হলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে সাইফুদ্দিন শাহীন (৩৮) ও টেকনাফের মৃত বাচা মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিক (২৭)।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।