প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর হাটগুলো তদারকি করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সারা দেশে মোটাতাজা করা পশু চিহ্নিত করা ও পশুর হাটে গ্রাহক প্রতারণাসহ নানা অনিয়ম ঠেকাতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এই সংস্থাটিও যুক্ত হবে। বড় হাটগুলোতে থাকবে অধিদপ্তরের বুথও।
এর অংশ হিসেবে শনিবার গাবতলী কুরবানীর পশুর হাট পরিদর্শন করে অধিপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণসহ ভোক্তাদের সঙ্গে কোনো ধরণের প্রতারণার চেষ্টা করা হলে তা কঠোর হস্তে দমন করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, ভোক্তাদের নান ধরণের প্রতারণা-হয়রানি থেকে রক্ষা করতে এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে কোরবানির পশুর মাঠে কাজ করবে তাদের টিম। এছাড়াও হাটে জাল নোটের প্রতারণা ও পশুর শরীরে স্টেরয়েড কিংবা অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া গেলে সে বিষয়েও হস্তক্ষেপ করা হবে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের মাধ্যমে খামারিদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।