মোদি সরকার ৩৭০ ধারা রদ ও জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ সুবিধা তুলে নেওয়ায় এই ইস্যুতে ত্রিশঙ্কুতে পড়েছেন কংগ্রেস পার্টি। দেশটির প্রধান বিরোধী দলের অনেক নেতায় সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। যেখানে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। দুটি জায়গাতেই দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হবে।
৩৭০ ধারা বাতিল, জম্মু-কাশ্মীর থেকে আলাদা হচ্ছে লাদাখ
এ বিষয়ে প্রবীণ কংগ্রেসের নেতা অভিষেক মানু সিংভি স্বীকার করেছেন পার্টি আগে থেকে এ ব্যাপারে কৌশলী ছিল। তার পরও আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রতারিত হয়েছি। আমাদের চার-পাঁচটা রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে ৩৭০ ধারা রদের ব্যাপারে তাদের সমর্থন জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি বলবো না যে, আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানতাম না। আমি মনে করি দলের সবাই, গোলাম নবী আজাদ থেকে শুরু করে পি চিদাম্বরম পর্যন্ত গত এক সপ্তাহ ধরে কথা বলে আসছেন। এটা প্রায় ‘ওপেন সিক্রেট’ ব্যাপার ছিল, তবে কেউই এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল না। তবে হ্যাঁ, আমরা অল্প কয়েকটি দল এটার বিপক্ষে কথা বলেছি, প্রতিবাদ করেছি। গণতন্ত্র মানে গণতন্ত্রই এখানে আপনাকে সংখ্যা গরিষ্ঠের মত নিয়েই চলতে হবে।
রাহুল গান্ধী গত নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর চলতি বছরের মে মাসে কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কাশ্মীর ইস্যুতে দলের অবস্থান ও এ ব্যাপারে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি জরুরি কোনো সভা করবে কি না জানতে চাইলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, এখন আর তিনি জরুরি মিটিং ডাকতে পারেন না, যেহেতু এখন আর তিনি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে নেই
তবে সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, দলের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, এবং তারা ৩৭০ ধারা রদের ব্যাপারে তাদের সমর্থন জানাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে সংসদে ক্ষমতাসীন দল একপাক্ষীকভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।