দেশের গণমাধ্যমে ডেঙ্গুর খবর বেশি অনেক বেশি প্রকাশিত হওয়ার ফলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে আর সেটাই সমস্যার সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, শুধু সিটি করপোরেশনকে দোষ দিলে হবে না, মানুষকেও সতর্ক হতে হবে।
লন্ডনে বিবিসি বাংলার কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।
মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতা কিংবা দুর্নীতির বিষয় তিনি নাকচ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটু উচ্চবিত্ত যারা, সেইসব জায়গাগুলোতেই এর প্রকোপ বেশি। আমাদের সবসময় লক্ষ্য থাকে বস্তি এলাকা, ড্রেন এসব দিকে। মশা মারা কিন্তু নিয়মিত একটা ব্যাপার।”
শুধু সিটি কর্পোরেশনকে দোষ না দিয়ে সব মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে আহবান জানান তিনি। মশার ওষুধ কেনায় দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তাও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “মশার ওষুধ কেনার ব্যাপারে টেন্ডার করা হয়। যারা টেন্ডারে উপযুক্ত হয়, তারা কিনে নিয়ে আসে এবং সেগুলো ব্যবহারও হয়। তবে কোন ওষুধ এডিস মশার উপরে কাজ করে, সেই ব্যাপারে বিভক্তিকরণ করা হয়নি বা সেই ধরনের সতর্কতা ছিল না।”
তাকে প্রশ্ন করা হয়ে যে সরকারি হিসেবেই বলা হচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং এর সংখ্যা আরও বড় হবে বলে অনেকে মনে করেন। তাই কিভাবে ভবিষ্যতে মশা নিয়ন্ত্রণ আরও সুষ্ঠুভাবে করা যায়?
এর জবাবে তিনি জানান যে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং সরকারের পাশাপাশি তার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকেও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে আহবান করা হয়েছে।
“শুধু ঢাকা নয়, সমস্ত দেশেই একটা পরিচ্ছন্নতা অভিযান দরকার।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কারো ঘরের কাছে বা ঘরে কোথাও যদি পানি জমা থাকে এবং সেখানে মশার লার্ভা তৈরি হয়, তবে তাদের জরিমানা করা হবে। মানুষ যদি আগামীর জন্য প্রস্তুত থাকে, তবে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি হবে না বলে আমি মনে করি।”