এতে আপনি যা পড়ছেন তা সহজেই পরীক্ষার আগে রিভিশনও দিতে পারবেন। প্রথমে সিলেবাসটি দুই ভাগে ভাগ করতে পারেন।
১)বাংলা+ইংরেজি+মানসিক দক্ষতাসহ গণিত= ৩৫+৩৫+৩০=১০০ নম্বর। এই ১০০ নম্বর বুঝে পড়তে হবে এবং এই অংশে আপনার মেধা যাচাইয়ের স্থান।
২)ভূগোল সহ সাধারণ জ্ঞান+কম্পিউটারসহ বিজ্ঞান+নৈতিকতা=৬০+৩০+১০=১০০।
এই অংশ মুখস্থবিদ্যা।
এই অংশে কঠিন প্রশ্ন আসলে আপনি যেটা পারবেন না আপনার মত অনেকেই পারবেনা,নিয়মিত কমন প্রশ্নগুলো পড়ুন ভাল নম্বর পাবেন।
আপনি যদি সিরিয়াস, কর্মঠ ও ভালো ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে এই লেখা আপনার জন্য নয়। কিন্তু আপনি যদি আমার মতো অলস, আকাইম্যা, ঘুমকাতুরে, ব্যর্থ, সাপ্লিখাওয়া ও ব্যাকবেঞ্চার হয়ে থাকেন তাহলে এই পরামর্শ গুলো আপনার বিসিএস পরীক্ষার জন্য কাজে লাগবে।
১. প্রথমেই কোচিং করার পরিকল্পনা বাদ দেন। আপনি যেহেতু অলস তাই জ্যাম ঠেলে কোচিং যাওয়া আসা, ক্লাস করা এসব আপনার পোষাবে না। তার চেয়ে বরং যে সময়টা রাস্তায় কাটাতেন সেই সময়টা ঘুমিয়ে কাটান। আর ক্লাসের সময়টা বাসায় বসে একটু পড়েন।
২. কোন স্ট্রিক্ট রুটিন করার দরকার নাই। কারন অলস মানুষ হিসেবে আপনি দেরিতে ঘুম থেকে উঠেন। নাস্তা খান দুপুরে, ভাত খান বিকালে। আপনার কোন কিছুরই ঠিক ঠিকানা নাই। তাই স্পেসিফিক রুটিন করলে ফলো করতে পারবেন না। ব্যর্থ হবেন। তাতে মন খারাপ হবে। হতাশা আসবে।
৩. পড়ায় সিরিয়াস হতে যেয়ে বিনোদন মূলক কাজকর্ম থেকে দূরে থাকবেন না। তাহলে মানসিক চাপ বাড়বে। বাংলাদেশের খেলা মিস দেওয়া যাবে না। বিকালে আপনার মতো আকাইম্যা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবেন। একটু ঘুরাঘুরি করবেন। ‘হাওয়া বদল’, ‘আশ্চর্য প্রদীপ’, ‘ভুতের ভবিষ্যত’ বা ‘আয়নাবাজি’ মতো বিনোদনমূলক চলচ্চিত্রগুলো দেখবেন। তবে হিন্দি সিরিয়াল দেখবেন না। মাথা নষ্ট হয়ে যাবে।
৪. পরীক্ষায় পাস করতে হবে এই চিন্তা বাদ দেন। আপনি সাপ্লিখাওয়া স্টুডেন্ট। ব্যর্থতা আপনার নিত্য সংগী। তাই পাস করতেই হবে এই চিন্তা করে মনের উপর চাপ বাড়ানোর দরকার নাই। ফুরফুরে থাকেন, নিজের মতো পড়েন। তারপর পাস করে গেলে লোকজন বলবে “পোলাডা যে জিনিয়াস এইডা কিন্তু আমি আগেই জানতাম”।
৫. আপনার বাসার লোকজন যেমন আব্বা, আম্মা, ভাইবোন সবাই আপনাকে বলবে “ওমুক বাড়ির আক্কাস মিয়ার পোলা মুকলেস জীবনে কত কিছু কইরা ফেলাইলো, তুই ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া জীবনটা শেষ কইরা দিলি”। এসব কথা শুনার সাথে সাথে বইটা বন্ধ করে মনে মনে ভাববেন আপনি মুকলেস না। আপনি হচ্ছেন আপনি। আপনি বেশি ঘুমান মানে আপনি বেশি এনার্জেটিক। তাই সফলতার পিছনে না দৌইড়া নিজের উপর বিশ্বাস রাখেন। আর পরীক্ষার আগের ছয় মাস থেকে আত্মীয়স্বজন থেকে দূরে থাকেন।