ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বুধবার আব্দুল জলিল সরদার নামে এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা মৃত্যু প্রমাণ সনদে তার মৃত্যুর কারণের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রম’। তবে চিকিৎসক দাবি করে, ‘আব্দুল জলিলের মৃত্যু হয়েছে এটি নিশ্চিত, তবে তা ডেঙ্গুতে নয়।’
নিহতের বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় নারুয়াহাটি গ্রামে। আব্দুল জলিল সরদারের ছেলে মিরাজুল সরদার জানান, এক সপ্তাহ আগে তার বাবার ডেঙ্গু জ্বর ধরা পরে। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সুস্থ হলে তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকালে বাবার অবস্থা খারাপ হলে তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। ১০ টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা মৃত্যু প্রমাণ সনদ অনুযায়ী জানা গেছে, নিহত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল জলিল সরদার। সে পেশায় একজন কৃষক। তার বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় নারুয়াহাটি গ্রামে। মৃত্যুর কারণের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রম’।
এদিকে এই বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, তার মৃত্যু হয়েছে এটি নিশ্চিত, তবে তা ডেঙ্গুতে নয়। মৃত্যু প্রমাণ সনদের কথা উল্লেখ করে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, সেটি সঠিক নয়, পরবর্তীতে নতুন মৃত্যু সনদ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরে বিভিন্ন হাসপাতালে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৩৮৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৩৬ জন । এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৬৫ জন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে পাঁচজন মারা গেছেন বলে জানা যায়।