প্যারিস থেকে মন উঠে গেছে নেইমারের। যে কোন মূল্যেই ছাড়তে চান সে শহর। স্পেনে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা তার। পছন্দের ক্লাব বার্সেলোনা। কিন্তু সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ হলেও আপত্তি নেই তার। এতোটাই মরিয়া তিনি। আর সে সুযোগটা ভালোভাবেই নিচ্ছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। কারণ অনেক দিন থেকেই নেইমারে চোখ ছিল ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের। আর তাকে পাওয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে দলটি। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম স্পোর্ত।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মধ্যেই পিএসজির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে রিয়ালের। আলোচনার অগ্রগতিও বেশ। আগামীকাল আরও একটি বৈঠক হবে। স্প্যানিশ জায়ান্টরা অবশ্য নেইমারের চুক্তিতে গ্যারেথ বেলকে রাখতে চাচ্ছে। পাশাপাশি আরও একটি নাম উঠে এসেছে। গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। এ নিয়েই আগামীতে আলোচনা হবে। রিয়াল প্রেসিডেন্ট পেরেজ অবশ্য আশাবাদী গ্রীষ্মেই নিজেদের সেরা সাইনিংটা করাবে তারা।
তবে ধারণা করা হচ্ছে নেইমার রিয়ালে যাওয়ার ব্যাপারে খুব একটা ইচ্ছুক নন। বার্সেলোনাতেই ফিরতে চান তিনি। সাবেক সতীর্থরাও তাকে কাতালান ক্লাবেই ফেরার অনুরোধ করেছেন। অবশ্য স্পোর্ত আরও জানিয়েছে, নেইমার বার্সেলোনার সাবেক সতীর্থদের ফোন করে জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদই হতে পারে তার পরবর্তী ঠিকানা। আর এ সংবাদ সত্যি হলে দুই এক দিনের মধ্যেই স্পেনে তার ফেরার ঘোষণা আসতে পারে।
বার্সেলোনাও নেইমারকে ফেরানোর চেষ্টা করেছিল। গত মঙ্গলবার দিনভর পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দো ও তার সহকারী অ্যাঞ্জেলো কাসতেয়াজ্জির সঙ্গে বার্সেলোনার হয়ে আলোচনা করেন স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরিক আবিদাল, তার সহকারী হ্যাভিয়ার বোরদাস এবং ক্লাবের ব্রাজিলের প্রতিনিধি আন্দ্রে কারি। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। বার্সার কোন প্রস্তাবেই রাজী হয়নি ফরাসী দলটি। নগদ অর্থ চাই তাদের। ঠিক যে মূল্যে কাতালান ক্লাব থেকে কিনেছিল তারা।
মূলত বার্সেলোনার কাছে নেইমারকে বিক্রি করতে রাজী নয় ক্লাবটি। তাই ১০ মিলিয়ন ইউরোর সঙ্গে ফিলিপ কৌতিনহো ও ইভান রাকিতিচের মতো খেলোয়াড় বদলের প্রস্তাবও মানেনি পিএসজি। বেশ কিছু কারণেই দুই ক্লাব চির প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছে। তাই বার্সেলোনার চেয়ে রিয়ালে নেইমারকে বিক্রি করতে বেশি আগ্রহী ক্লাবটির সত্ত্বাধিকারী নেসার আল-খেলাইফি।
২০১৭ সালের গ্রীষ্মের দলবদলে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে নাম লেখান নেইমার। পিএসজির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হবে ২০২২ সালের জুনে।