জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ মিশন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা। আলোচনায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব, সাহসী নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার স্মৃতিচারণ করেন।
জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত শোক দিবসের মূল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। এসময় দেশি-বিদেশি অতিথিরা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।রাষ্ট্রদূত মাসুদ তার বক্তব্যে জনগণের ক্ষমতায়ন, মানবাধিকারের সুরক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি, গণতন্ত্র, শান্তি ও সহবস্থানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী বছর বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি। সে উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দফতরে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি ২০২১ সালে উদযাপন করা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।’
এসকল অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীর উদ্বৃত্ত করে বলেন, ‘ঘাতক-চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। আসুন, আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি।’