টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। যা কিছুদিন ধরে দেশে মূল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় বক্তব্য দেওয়ার সময় কাশ্মীর ইস্যু তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সর্দার বল্লভভাই পটেলের স্বপ্ন পূরণ করতেই কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ বার এক দেশ, এক সংবিধানের স্বপ্ন পূরণ হবে।
এ দিন লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রথমেই দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবস ও রাখিবন্ধনের শুভেচ্ছা জানান মোদী। তারপরে নিজের ভাষণ প্রধানমন্ত্রী শুরুই করেন কাশ্মীর নিয়ে। মোদী বলেন, “কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই পটেলের স্বপ্ন ছিল। তিনি এক দেশ, এক সংবিধানের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন সফল করতে পেরে আমরা গর্বিত।” সেইসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত যে কাশ্মীরের মানুষের ভালোর জন্যই নেওয়া তা আরও একবার বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এই ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর বিরোধী দল থেকে শুরু করে পাকিস্তান, বারবার সমালোচনা শুনতে হয়েছে মোদীকে। কেউ এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক, তো কেউ এই সিদ্ধান্তকে একতরফা ভাবে নেওয়া বলে অভিযোগ তুলেছেন। পাকিস্তান তো এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জেরও দ্বারস্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাই ফের একবার এই বিষয় সামনে আনলেন মোদী।
কাশ্মীরের উপর থেকে স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস তুলে নেওয়ার পরে মোদী বলেছিলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে কাশ্মীরিদের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে। কাশ্মীরি যুবকরা কর্মসংস্থান পাবেন। এতদিন উপত্যকাকে অন্য চোখে দেখা হতো। এ বার থেকে বাকি ভারতের মতো কাশ্মীরও এক হয়ে গেল।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যদা উঠে যাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নব গঠিত দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য শিল্প গোষ্ঠীগুলিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, চলচ্চিত্র, পর্যটন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগ টানার ব্যাপারে সরকার বিশেষ নজর দেবে। তারপরেই ঘোষণা হয়, ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর তিন দিন ব্যাপী কাশ্মীরের প্রথম বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন হবে শ্রীনগরে।