দ্যা নিউজ বিডি, নিজস্ব প্রতিবেদক: নোয়াখালীর সেনবাগে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে (২০) ধর্ষণ করে ভিডিওচিত্র ধারণের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা হলো- ছাতারপাইয়া গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের ছেলে শুভ, আবদুল হকের ছেলে রকি ও হাছান। ৯ অক্টোবর রাতে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন এলাকায় ধর্ষণের এ ঘটনায় মঙ্গলবার মামলা করেন ওই গৃহবধূ।বুধবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনার মূল হোতা আবদুল কাদেরের ছেলে ধর্ষক পারভেজকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।গত ৯ অক্টোবর গৃহবধূর মাইক্রোবাসচালক স্বামী যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম যান। ওইদিন সন্ধ্যায় মাইক্রোবাসের মালিক শিমুলের ছোট ভাই পারভেজ তার ১০-১২ জন সহযোগী নিয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরে তাকে একা পেয়ে পারভেজ ধর্ষণ করেন। তার সহযোগী শুভ, রকি, হাসানসহ অন্যরা জানালা দিয়ে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। পারভেজ চলে যাওয়ার পর শুভ, রকি ও হাসানসহ ৮-১০ জন ওই নারীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র দেখিয়ে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। ওই গৃহবধূ এতে রাজি না হওয়ায় তারা ধর্ষণের ভিডিওটি গৃহবধূর স্বামীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেয়। ওই দিন রাতে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে এসে পরদিন সকালে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এক আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগিতায় মঙ্গলবার রাতে সেনবাগ থানায় ওই গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পারভেজকে প্রধান করে পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার প্রধান আসামি পারভেজসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আসমাউল হুসনা
নির্বাহী সম্পাদকঃ তানজীল আহমেদ