দ্যা নিউজ বিডি, নিজস্ব প্রতিবেদক:নাটোরের নারায়নপুর গ্রামে পারিবারিক বিরোধে আনোয়ারা বেগম শিল্পি (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী মঈনুল হোসেন মনিরের (৩৫) বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ২টার দিকে শিল্পিকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় মনির। ঘটনাটি জানাজানি হলে মনিরকে আটকে এলাকার মসজিদের মাইকিং করা হলেও তাকে ধরতে পারেনি এলাকাবাসী।এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানায়, স্বামী-স্ত্রী দু’জনই দিনমজুরের কাজ করলেও মনির অধিকাংশ সময়ই বেকার জীবনযাপন করতেন। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকত। মনির কাজের কথা বলে ঢাকায় থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে তিনি নাটোরে স্ত্রীর কাছে আসে। সোমবার রাত ২টার দিকে শিল্পিকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। এসময় শিল্পির একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অপর হাতও কেটে গিয়ে শরীরের সঙ্গে ঝুলছিল এবং ওই হাতের কয়েকটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া ঘাড়ের পেছনেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপানো হয়েছে। এসময় শিল্পির চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে তার রক্তাক্ত দেহ পরে থাকতে দেখেন। তারা শিল্পিকে উদ্ধার করে দ্রুত নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচাতো ভাই মান্নান ও প্রতিবেশী আবুল হোসেন বলেন, মনির সংসারের কোন খরচ দিতেন না। উপরুন্তু মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে শিল্পির কাছে থেকে জোর জবরদস্তি করে টাকা হাতিয়ে নিনেত। টাকা না দিলেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। শিল্পি নিজে মৌসুমে ইটভাটায় এবং অন্য সময়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ ভেবে কিছু টাকা সঞ্চয় করছিলেন। ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বিরোধ হতো। শিল্পির মৃত্যুতে তাদের দুই কন্যা ৮ম শ্রেণিতে পড়া মৌমিতা ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির মহিমার ভবিষ্যত এখন অন্ধকার। শিল্পির শিশু কন্যা মহিমা বলে, ঘটনার রাতে মা বাবার কাছেই ছিলেন। বাবা মাকে বাইরে ডেকে নিয়ে মারপিট করছিল। ভয়ে আমি বাইরে বের হয়নি। পরে শুনেছি আব্বা তার মাকে মেরে ফেলেছে। মায়ের কথা ভেবে কেঁদেই চলেছে মহিমা ও মৌমিতা। ওরা তাদের মায়ের হত্যার বিচার চায়।নিহত শিল্পির বাবা রিক্সাচালক বাহার আলী জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে সদর উপজেলার পার্শ্ববর্তী সুলতানপুর গ্রামের মৃত জাফরের ছেলে মইনুল হোসেন মনিরের সঙ্গে শিল্পির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তার