দ্যা নিউজ বিডি, নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় গলায় ধারালো দা ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে কিশোরী ভাগ্নিকে ছয়মাস যাবত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত রোববার সকাল ১১টার দিকে ধর্ষণের সময় এক প্রতিবেশী নারী দেখে ফেললে বিষয়টি জানাজানি হয়। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মামা পলাতক রয়েছেন।খবর পেয়ে সোমবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধারের পর তার মেজ মামা-মামির জিম্মায় রেখে আসেন। মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা নারী তার দুই বছর বয়সী মেয়েকে আপন ছোটভাইয়ের কাছে রেখে ১০ বছর আগে কাজের সন্ধানে ভারতের মুম্বাই শহরে যান। মামার কাছে থেকেই বড় হতে থাকে মেয়েটি। এর একপর্যায়ে ছয়মাস আগে ভাগ্নির ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মামা। এ সময় কিশোরী বাধা দেওয়ায় ধারালো দা গলায় ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে মামা তাকে প্রথম ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার জন্য তাকে শাসানো হয়। এরপর প্রায় সময় তাকে ধর্ষণ করেন লম্পট মামা। সর্বশেষ রোববার সকাল ১১টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় সুবাদে ঘরের মধ্যে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের সময় জানালা দিয়ে প্রতিবেশী এক নারী দেখে ফেলে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে লম্পট মামা বড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি সুলতানা, ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। মেয়েটি এ সময় অভিযোগ করে- তার মামা ছয়মাস যাবত তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। সে লস্পট মামার বিচার দাবি করে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম জানান, মেয়েটিকে উদ্ধারের পর তার মেজ মামা এবং মামির জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ দিকে এ খবর পেয়ে মেয়েটির মা ভারত থেকে দেশে আশার জন্য ইতিমধ্যে রওনা হয়েছেন। তার মা দেশে এসে থানায় মামলা করবেন।মনিরামপুর থানার ওসি (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন, কিন্তু থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করা হলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।