দ্যা নিউজ বিডি,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এরমধ্যে কেউ যদি দেশটিতে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই কোভিড পরীক্ষার ‘নেগেটিভ’ সনদ দেখাতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন , করোনাভাইরাসের অজ্ঞাত নতুন স্ট্রেইন থেকে ঝুঁকি এড়াতে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে সবধরনের ভ্রমণপথ বন্ধ থাকবে। এরমধ্যে কেউ যদি দেশটিতে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই কোভিড পরীক্ষার ‘নেগেটিভ’ সনদ দেখাতে হবে।ব্রাজিলের করোনাভাইরাসের আলাদা এবং অজ্ঞাত এক ধরন শনাক্ত হলে উদ্বেগ তৈরি হয়। ফলে দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্র ও পর্তুগাল সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় শুক্রবার। বরিস জনসন জানান, নতুন এই নিয়ম কমপক্ষে অন্তত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এক প্রতিবেদনে এসব খবর জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
করোনাভাইরাসের এখনো পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৮৭,২৯১জন। শুক্রবার সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে নতুন ৫৫৭৬১ জনের নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে যেটা আগের দিনে ছিল ৪৮৬৮২জন। এদিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে ২০ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে মহামারি শুরুর পর থেকে। ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, “এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দিনের পর দিন আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য এমন সব পদক্ষেপ নিচ্ছি।” তিনি বলেন, “আমারা করোনাভাইরাসের টিকার ব্যাপারে আশাবাদী এবং একইসঙ্গে নতুন যে স্ট্রেইন দেশের বাইরে থেকে আসছে সেটা বন্ধ করার জন্য আমাদের অবশ্যই অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছি।” ভ্রমণের সবধরনের পথ সোমবার স্থানীয় সময় সোমবার ভোর চারটা থেকে বন্ধ থাকবে। এরপর যারা যুক্তরাজ্যে আসবে তাদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে যদি না তাদের পাঁচদিন পর “নেগেটিভ” ফল আসে।