দ্যা নিউজ বিডি,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিরোজ শাহ কোটলার স্টেডিয়ামের নামবদলের পর আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামের নামকরণ হলো নরেন্দ্র মোদির নামে। একদিন আগেও এটিকে মোতেরা স্টেডিয়াম হিসেবে ডেকেছে মানুষ। রাতারাতি এখন সেটি মোদির নামে হয়ে গেল।মোতেরা স্টেডিয়াম নামে ভারতের মানুষের কাছে পরিচিতি থাকলে সেটির নাম মূলত বল্লভ ভাই প্যাটেল স্টেডিয়াম। এখন থেকে এই স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম নামেই পরিচিত হবে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নামে আজ স্টেডিয়ামের নাম ঘোষণা করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বছর খানেকের সংস্কারের পর আজ এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তার মাথায় প্রথম এই স্টেডিয়ামের ভাবনা এসেছিল। সে সময় গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন তিনি। আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’১৯৮৩ সালের ১২ নভেম্বর প্রথম তৈরি হয় মোতেরা স্টেডিয়াম। গত এক বছর সংস্কারের পর দর্শন ধারণ ক্ষমতায় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম বলা হচ্ছে এটিকে। এখানে একসঙ্গে বসে ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন। আজ ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ চলছে মোদি স্টেডিয়ামে।
এদিকে স্টেডিয়ামের নামবদলে সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা। কংগ্রেসের মিডিয়া কোঅর্ডিনেটার রাধিকা খেরা টুইটারে লেখেন, ‘সর্দার প্যাটেলের নাম সরে গেল এক ব্যক্তির নামে স্টেডিয়ামের নামকরণের স্বার্থে? আত্মপ্রেমী প্রচার-মন্ত্রীর মাস্টারস্ট্রোক এটা।’তৃণমূল মুখপাত্র কুনালঘোষ বলেন ‘এটা বিজেপির পক্ষেই সম্ভব। বাম জমানায় একজন বাম বিধায়ক নিজের মূর্তি বসিয়েছিলেন। ওটা সিকিভাগ। আর নরেন্দ্র মোদির ডবল ইঞ্জিন সরকার তথা ডবল চুল্লি শ্মশান পরিচিত স্টেডিয়ামকে এভাবে নামকরণ করছে। পুরোনো জিনিসকে ভুলিয়ে বিশ্রী জিনিস চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগ্রাসী আধিপত্য এটা। নরেন্দ্র মোদি আর যাই হন, ক্রিকেটার নন।’রাজনৈতিক নেতাদের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ ভারতে নতুন নয়। গত বছরই ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের নাম বদলে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম করা হয়।দেশটিতে জওহরলাল নেহেরুর নামে স্টেডিয়াম রয়েছে ৯টি। তার মধ্যে আটটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলা হয়। রাজধানী দিল্লি, গুয়াহাটি, বিজয়ওয়াড়াতে স্টেডিয়াম রয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর নামেও। দেরাদুন, হায়দরাবাদ, কোচিতে স্টেডিয়াম আছে রাজীব গান্ধীর নামে। অটল বিহারি বাজপেয়ির নামে নাদাউন ও লখনউতে আছে দুটি স্টেডিয়াম।তবে বিরোধীদের ভাষ্য, এই স্টেডিয়ামগুলো কোনোটিরই নামকরণই এই ব্যক্তিদের জীবদ্দশায় বা শাসনকালে করা হয়নি, বিরোধীর বক্তব্য এটাই।