দ্যা নিউজ বিডি অনলাইন ডেস্ক: শত কোটি টাকা খরচের পর এবার ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ বাতিল করে দেয়া হলো। এখন আর প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি খাতে বাস্তবায়িত হবে না। গতকাল অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এই বৈঠকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন।বৈঠকে, টিকা দেয়ার জন্য চীন থেকে ৯ কোটি পিস সিরিঞ্জ সংগ্রহের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একই সাথে অনুমোদন দেয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের জন্য পাজেরো জিপ কেনার প্রস্তাবও।সূত্র জানায়, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর আওতায় মহাসড়কটিতে অ্যাটগ্রেড ও এলিভেটেড সমন্বয়ে এক্সসেস কন্ট্রোল্ড এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ নীতিগত সিদ্ধন্ত নিয়েছিল অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আট বছর পেরিয়ে যাবার পর এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার। এতদিনে পরামর্শক ও নকশা প্রণয়নে ব্যয় হয়েছে ৯৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিবর্তে এখন বিদ্যমান চারলেন বিশিষ্ট মহাসড়কটি আরো প্রশস্ত করার পাশাপাশি সড়কের উভয়পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় মহাসড়কগুলো পর্যায়ক্রমে চার লেনে উন্নীত করার পাশাপাশি সড়কের উভয়পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে।এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকারি-বেসরকারি আওতায় এই এক্সপ্রেসটি নির্মাণ করা হবে না। মন্ত্রিসভা কমিটি এটি বাতিল করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় শত কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে, এই গচ্চা দায়ভার কে নেবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খরচ হয়ে গেছে এটি ঠিক, এই টাকা দিয়ে সম্ভাবতা যাচাই করা হয়েছে। প্রকল্পটি এডিবি ঋণ ছিল, আর বাকি অর্থ সরকারিখাতের ছিল। শত কোটি টাকা ব্যয় কোন খাত থেকে হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি খাত থেকেই এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আসমাউল হুসনা
নির্বাহী সম্পাদকঃ তানজীল আহমেদ