দ্যা নিউজ বিডি অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ ঘাটে ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনার চারদিন পর চারজনের মরদেহ নদীতে ভেসে উঠেছে। এদের মধ্যে এক পরিবারের চারজন নিখোঁজ হওয়া জেসমিন আক্তার নামে এক নারী ও তার মেয়ের মরদেহ রয়েছে। আজ রবিবার তাদের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধারকাজ চালানো শুরু হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক আব্দুল্লা আল আরেফিন জানিয়েছেন, সকালে ধর্মগঞ্জ ঘাটের অদূরে ৪টি মরদেহ ভেসে উঠে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে আরও ছয়জন। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যেখানে ট্রলার ডুবেছে, সেখান থেকে কিছুটা দূরে চারটি মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে আমাদের খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। আমরা গিয়ে উদ্ধার করি। মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সকালে ফতুল্লার বক্তাবলী সিপাইবাড়ি খেয়াঘাট থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে পৌঁছালে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি ফারহান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় ট্রলারটি। এসময় অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একই পরিবারের চারজনসহ আরও ৬ যাত্রী নিখোঁজ হন। ঘটনার পঞ্চম দিন পার হলেও এখনো কাউকে উদ্ধার করতে না পারায় স্বজনদের আর্তনাদ ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশায় উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করায় নদীটির এ পথে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। সেদিন থেকেই তাদের খোঁজ পেতে ধলেশ্বরীর তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা। অপরদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান, চালক জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি জসিম মোল্লাকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছেন বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, জব্দ করা হয়েছে লঞ্চটিও।