দ্যা নিউজ বিডি অনলাইন ডেস্ক: সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশে সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা (এমপিএ) গড়ে তোলায় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্কার বিজয়ী হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ ওই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা (বাংলাদেশ সময়) তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে ডিক্যাপ্রিও লিখেছেন,‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশে নতুন প্রতিষ্ঠিত সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন, যা জীববৈচিত্র্যের একটি অসাধারণ পরিমণ্ডলকে রক্ষা করবে এবং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল প্রাচীরের জন্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল জোগান দেবে।’ সেন্টমার্টিনের একটি দৃষ্টিনন্দন ছবিও টুইটে শেয়ার করেছেন ডিক্যাপ্রিও। ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সৌজন্যে এটি পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তার এই টুইটটি পাঁচবারের বেশি রিটুইট হয়েছে। টুইটারে তার ফলোয়ার এক কোটি ৯৫ লাখের বেশি। এই অভিনেতা ও পরিবেশবিদ বলেন, ‘এই নতুন ঘোষিত সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকাটি বাংলাদেশের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে ৬৭২ বর্গমাইল বিস্তৃত।
তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেয়া পৃথক পোস্টে তিনি বলেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পানিতে দেশটির একমাত্র প্রবাল প্রাচীর অবস্থিত। নতুন ঘোষিত সংরক্ষিত এলাকার সুবাদে বিপন্ন গোলাপি ডলফিন, হাঙর, রে মাছ, সামুদ্রিক কচ্ছপ, সামুদ্রিক পাখি, প্রবাল, সামুদ্রিক ঘাস এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও এগুলোর আবাসস্থল সংরক্ষণে সহায়ক হবে। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার, রি:ওয়াইল্ড’এর সহযোগিতাপ্রাপ্ত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটি, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং এনজিওগুলিকে অভিনন্দন জানান। অনেক বছর ধরেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ব্যাপক সোচ্চার ডিক্যাপ্রিও। সেই লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজের বেশিরভাগ পোস্টে জলবায়ু-সম্পর্কিত খবর তুলে ধরেন। এবারই প্রথম তার টুইটে বাংলাদেশের কথা উঠে এলো।বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রায় এক হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্টমার্টিন সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল’ ঘোষণা করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মতে, এর ফলে জাহাজের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, অতিরিক্ত মাছ ধরা, বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থের ডাম্পিং প্রবাল প্রাচীর ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর সবকিছু রোধ করা হবে।