দ্যা নিউজ বিডি অনলাইন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অমান্য করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গ্রামের লোকজনদের ওপর চড়াও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের বাংলাদেশি সীমান্ত অতিক্রম করে বিএসএফ। স্থানীয়রা জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ডিএমপি ১০ নম্বর মেইন পিলারের ৪ ও ৫ নম্বর সাব পিলার সংলগ্ন গ্রামটি দহগ্রাম ইউনিয়নের সৃষ্টিয়ারপাড়। বুধবার দুপুরে ওই গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পাটগ্রাম উপজেলায় চলাচলের পাকা রাস্তার পূর্বে স্থাপিত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তার টানতে থাকেন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। এ সময় ভারতীয় বিএসএফ উমর ক্যাম্পের ৪ জন অস্ত্রে সজ্জিত বিএসএফ সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিদ্যুতের লোকজনদের গালমন্দ করে লাঠি ও অস্ত্র উঁচিয়ে কাজ করতে বাধা দেন। তারা আরও জানান, এ সময় গ্রামবাসীরা এগিয়ে গেলে বিএসএফ সদস্যরা অস্ত্র ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে স্থানীয় লোকজনের ওপরও চড়াও হন।গ্রামবাসীরা দাবি করেন, বিএসএফ প্রায়ই রাতে এবং কোনো সময় দিনেও সীমান্ত অতিক্রম করে গ্রামে প্রবেশ করে গালিগালাজ করে ও ভয়ভীতি দেখান। এ সময় বিজিবিকে খবর দিলে বিজিবি দেরিতে পৌঁছে।
সৃষ্টিয়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন (৩৫) ও জয়নাল আবেদীন (৩৩) বলেন, ‘সীমান্ত অতিক্রম করে ৪ জন বিএসএফ সদস্য অস্ত্র ও লাঠি হাতে আমাদের গ্রামে প্রবেশ করে আমাদের ওপরই লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট সময় ধরে তারা অবস্থান করেছিলেন। এ সময় বিজিবিকে খবর দেওয়া হলেও বিজিবি আসার আগেই বিএসএফ সদস্যরা ভারতের ভেতরে চলে যান।’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পানবাড়ি কোম্পানি অধিনায়ক সুবেদার খাইরুল ইসলাম, ঘটনাটি জানতে পেরেছি। শূন্য রেখার দেড়শ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা করার নিয়ম নেই। এ কারণে শূন্য রেখার পাশেই বিএসএফ বাধা প্রদান করতে আসে। এ ব্যাপারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় ৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এএফএম আজমল হোসেন খান বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।