দ্যা নিউজ বিডি অনলাইন ডেস্ক: পার্লামেন্টে অভিশংসিত হওয়ার প্রস্তাবে আইনপ্রণেতাদের ভোটের পর নেপালের প্রধান বিচারপতি চোলেন্দ্র শমশের রানাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার তাকে বরখাস্ত করা হয়। বিচারপতি রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্বজনদের রাজনৈতিক পদ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে গত বছর তিনি নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে সরিয়ে দিয়ে পার্লামেন্ট পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিলেন। খবর রয়টার্সের ২০২০ সাল থেকেই নেপালের রাজনীতিতে দুর্যোগের ঘনঘটা চলছে।প্রধান বিচারপতিকে বরখাস্তের ঘটনা প্রমাণ করছে, দিন দিন সেই সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে।প্রধান বিচারপতিকে বরখাস্ত করার ফলে নেপালের বর্তমান পার্লামেন্টও এখন হুমকির মুখে রয়েছে। জোটের শরিকদের মধ্যে বিরোধের জেরে এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওলি এক বছরের মধ্যে দুইবার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছিলেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট ওই বিরোধে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রধান বিচারপতি রানা গত বছরের জুলাইয়ে ওলিকে সরিয়ে দিয়ে পার্লামেন্ট পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই নেপালের আইনজীবী সমিতি প্রধান বিচারপতি রানার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ
তোলে।ওই সমিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরাও আছেন। এদিকে নেপালকে ঘিরে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারপতি রানা কয়েকজন রাজনীতিবিদের কাছ থেকে তার আত্মীয়দের মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ওলিকে সরিয়ে দেওয়া এবং পার্লামেন্ট পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিভিন্ন মামলার রায়ের বিষয়ে অন্যান্য বিচারপতিদের প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে রানার বিরুদ্ধে।প্রধান বিচারপতি রানা অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পার্লামেন্টে রোববার প্রধান বিচারপতির পদে রানাকে অভিশংসন করা নিয়ে ভোটাভুটিতে বিস্ময়কর ফল এসেছে।অভিসংশনের পক্ষে পড়েছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভোট; যেখানে প্রস্তাব পাসের জন্য উপস্থিত আইনপ্রণেতাদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন পড়ে। রানাকে বরখাস্তের বিষয়ে আইনমন্ত্রী দিলেন্দ্র প্রসাদ বাদু সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিচার ব্যবস্থায় যে অচলাবস্থা লছে, তার অবসানে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।