দ্যা নিউজ বিডি অনলাইন ডেস্ক: সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল বলেন, আজকে সমগ্র দেশকে তারা (সরকার) লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে। দুর্নীতিতে দেশ এমনভাবে ভরে গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তা অনেকগুলো মামলা দেখছিলেন। তাকে এখন সরিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশনকেও আজ পুরোপুরিভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত করে ফেলা হয়েছে।তিনি বলেন, আজকে আপনারা দেখেছেন পত্রপত্রিকায় মন্ত্রী ও একজন উপদেষ্টার ফোনালাপের কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। সেই ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়ের একটা প্রজেক্ট, সেটা পাস করানোর জন্য মন্ত্রী কথা বলছেন উপদেষ্টার সাথে। একজন বিচারককে সেখানে জড়ানো হয়েছে এবং সচিবালয়ের একটি ফাইলকে মুভমেন্ট করানোর কথা বলা হয়েছে। এই কথোপকথনের মধ্যে কী আছে এটা আমরা জানতে চাই। এই ফোনালাপের বিষয়ে আমরা তদন্ত চাই। তা-না হলে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের দাঁড়াতে হবে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, সময় খুব কম, আমাদেরকে অতিদ্রুত জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে নেমে এই ভয়াবহ সরকারকে সরাতে হবে। তারা বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না।
তিনি বলেন, ’৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা যে চেতনা, যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে, যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন, সেই চেতনাকে আওয়ামী লীগ চুরমার করে দিয়েছে। দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও সেই স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা বানাতে পারিনি।‘আজকে আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের যে সত্তা, যে আলাদা পরিচিতি সেটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে আজ সত্যিকার অর্থে নতজানু একটি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’ফখরুল বলেন, এই সরকার আসার পর থেকে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। যে নির্বাচন ব্যবস্থা ছিল সেটাকেও তারা ভেঙে ফেলেছে। আমাদের ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, আমাদের ন্যূনতম বেঁচে থাকার অধিকার তাও তারা বিলীন করে দিয়েছে।এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মীর্জা আব্বাস, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।