দ্যা নিউজ বিডি,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের নিষ্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে শনিবার। তার আগেই প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তিনিই হচ্ছেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট পুনর্বহাল ও শনিবার অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্বপ্রণোদিত রুল জারির পর বৃহস্পতিবার বিরোধী জোট যৌথ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছিল। সেখানেই শাহবাজ তার এই প্রার্থিতার কথা জানান। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে বিরোধীরা তাদের বিজয় হিসাবেই দেখছে এবং শনিবার পার্লামেন্টেও তাদের বিজয় হবে বলে মনে করছে তারা। পার্লামেন্টে সমর্থনের যে হিসাব-নিকাশ দাঁড়িয়েছে, তাতে অনাস্থার লজ্জা নিয়ে ইমরানের প্রস্থান এখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। আর ইমরান সরে গেলে তার জায়গায় উত্তরসূরি হিসাবে শাহবাজের নামটাই ঘুরেফিরে আসছে সবার ওপরে।
শাহবাজ শুধুমাত্র পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক নেতা নন। তার আরও একটি পরিচয় হল, তিনি সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। দেশের বাইরে শাহবাজ ততটা পরিচিত না হলেও দেশের ভেতরে প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য তার সুনাম আছে। এ মুহূর্তে পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিরোধী দলনেতার পদে থাকা শাহবাজের এর আগে প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে। তিনবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। এ পদে সবথেকে বেশি দিন থাকার কৃতিত্ব তার। তাছাড়া, সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দুর্নীতি সংক্রান্ত দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে লন্ডনে চলে যাওয়ার পরই তার দল পিএলএম-এন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন শাহবাজ। ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারফেজ মুশারফের নেতৃত্বে পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থানের পর পাকিস্তান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শাহবাজ শরিফ। ২০০০ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকতে শুরু করেন তিনি। ২০০৭ সালে শাহবাজ আবার পাকিস্তানে ফেরেন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করতে। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জিতে ফের পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।