দ্যা নিউজ বিডি, নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে না হওয়ায় হতাশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি এখনও দাবি করেছেন ‘শেখ হাসিনা’র নামেই সেতুর নাম করণ হোক। সেই সঙ্গে গানের কলিতে নিজের কষ্ঠ প্রকাশ করেছেন তিনি।বুধবার সংসদে পদ্মা সেতু নিয়ে এক সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় সেতুর নাম প্রধানমন্ত্রীর নামেই করার প্রস্তাব পুনরায় দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমি এখনও বলছি, পদ্মা সেতুর নাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে করা হোক। না হলে আমরা অকৃতজ্ঞ হয়ে থাকব।এসময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা তার সমর্থনে টেবিল চাপড়ান। তবে সংসদ কক্ষে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন ইশারা করে কাদেরকে থামতে বলেন। তখন কাদের ‘এখন আর কী করব?’ বলেই মান্না দে’র গানের শরণ নিয়ে বলেন, যদি কাগজে লিখো নাম, কাগজ ছিঁড়ে যাবে/পাথরে লিখো নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে/ হৃদয়ে লিখো নাম, সে নাম রয়ে যাবে সেতুর নাম নিয়ে আলোচনার শুরু থেকেই ‘শেখ হাসিনা সেতু’ করার দাবি ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। নানা
অঙ্গন থেকে তাতে সমর্থনও আসে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাতে সায় দেননি। পরে সেতু বিভাগ এই সেতুর নাম ‘পদ্মা সেতু’ ঘোষণা করে গেজেটও প্রকাশ করা হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন প্রধান হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী। প্রস্তাবের উপর আলোচনা করেন সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্যরা। পদ্মা সেতুকে সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক এবং অপমানের প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রমাণ করেছেন আমরা চোর নই, আমরা বীরের জাতি।আলোচনায় জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। তাদের প্রশ্ন করা উচিৎ, তারা যে ক্ষতি করেছে তা কীভাবে পুষিয়ে দেবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদেরও যেন আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীকে দেন সংসদে বিরোধী দলের এই নেতা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিরা যেন নাকে খত দিয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যান, সেটা দেখার জন্য আমি বেঁচে আছি।