দ্যা নিউজ বিডি অনলাইন ডেস্ক: নানা উদ্যোগ নিয়েও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। মাদক কারবারের পাশাপাশি অপহরণ করে চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। প্রায় প্রতিদিনই অপহরণের ঘটনা ঘটছে ক্যাম্পগুলোতে। গত এক মাসে অন্তত দুই শতাধিক লোককে অপহরণের পর চাঁদা আদায় করা হয়েছে। ক্যাম্পের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও তৎপর। ইতিমধ্যে অপহরণকারী চক্রের একটি তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ। তালিকায় ২৭৭ অপহরণকারী সক্রিয় থাকার কথা বলা হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা। স্থানীয় একটি চক্রও এই অপহরণকারীদের সহায়তা করছে বলে পুলিশের ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে। তাদের মূল টার্গেট স্থানীয় কৃষক ও ক্যাম্পের ভেতরে থাকা নিরীহ লোকদের ওপর। অপহরণের ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটকের পর পুলিশ এসব তথ্য পেয়েছে।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের একটি চক্র অপহরণ করাসহ অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে আমরা তথ্য পাচ্ছি। তাদের কঠোরভাবে দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অপহরণকারীদের নিয়ে কিছুদিন আগে একটি প্রতিবেদন এসেছে পুলিশ সদর দপ্তরে। স্থানীয় একটি মহল অপরাধী রোহিঙ্গাদের নানাভাবে সহায়তা করছে। তারা স্থানীয় কৃষকদের অপহরণ করছে। আবার ক্যাম্পের ভেতরেও একই ধরনের অপরাধ কর্মকা- চালাচ্ছে। তালিকায় যাদের নাম এসেছে তাদের ধরতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) কক্সবাজার সফর করেছেন। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করার নির্দেশ দিয়েছেন। মিয়ানমারের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কিছু সদস্য ক্যাম্পের ভেতরে ঘাপটি মেরে আছে বলে আমরা তথ্য পাচ্ছি।