দ্যা নিউজ বিডি অনলাইন ডেস্ক: ভোর হতে না হতেই পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে শতশত গাড়ি এসে ভিড় করে। কার আগে কে পাড়ি দেবেন পদ্মা সেতু। সকাল ৬টার পর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টোলপ্লাজা থেকে মারওয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত যানবাহনের ভিড় লম্বা আকার ধারণ করে। পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে মোটরসাইকেলের হিড়িক পড়েছে। এ দৃশ্য দেখলে মনে হবে যেন মোটরসাইকেল রেস হচ্ছে। কে কার আগে পদ্মাপাড়ি দেবে ফাঁকা সেতু পেয়ে অনেকে সেভাবেই আনন্দের সঙ্গে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন। বেনাপোলগামী যাত্রী বকুল তার সপরিবার নতুন গাড়িতে চড়ে প্রাণের পদ্মা সেতুতে টোল দিয়ে পাড়ি দেবে বলে খুব ভোরে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে তিনি মাওয়া রেলস্টেশনে এসে ভিড়ে পড়েন। টোলপ্লাজায় এখন এনালগ সিস্টেমে টোল নেওয়ার কারণে এ ধরনের দীর্ঘলাইন হলেও তা মানুষের আনন্দে পরিণত হয়েছে।প্রাইভেটকারে পদ্মা পাড়ির উদ্দেশে গোপালগঞ্জের ভেন্নাবাড়ি এলাকার শেখ আজম বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে উঠার আগেই নানন্দিকতায় ভরপুর এক্সপ্রেসওয়ে, যা বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের চেয়েও সুন্দর। এখানে অনেকে ছবি তুলছেন মনভরে, মনোরম দৃশ্য দেখছেন। আমিও ছবি তুললাম। একটু পরেই এই প্রথমবারের মতো প্রমত্ত পদ্মা পাড়ি দেব প্রিয় পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে। এ এক অন্যরকম অনুভূতি ভালো লাগার। পদ্মা সেতু চালু হয়ে ইতিহাসের একটি নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আরও উচ্চতায় নিয়ে গেছে।’ বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সারি কমে গেছে। এখন আর সেতু এলাকায় গাড়ির তেমন চাপ নেই বললেই চলে। বর্তমানে সেতু এলাকায় গাড়ির তেমন চাপ নেই। এখন আর মানুষকে প্রমত্ত পদ্মা পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পদ্মাপাড়ে বাসে থাকতে হবে না।’ এ কথা বলে এই রুটে চলাচলকারী বহু যাত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। অপরদিকে মাওয়া ফেরিঘাটে নেই কোনো মানুষের কোলাহল। যেখানে প্রতিদিন এমন সময় মানুষের ঢল নামত এখন সেখানে জনমানব শূন্য হয়ে আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আসমাউল হুসনা
নির্বাহী সম্পাদকঃ তানজীল আহমেদ